T20 World Cup Live Adult Movies Hindi DubbedBengali Bangla DubbedBollywoodHollywoodWeb SeriesDual AudioJoin Telegram
Top Singers:
Akash Islam | Anik Shahan | Arfin Rumey | Arman Alif | Asif Akabr | Atif Ahmed Niloy | Balam | Bappa Muzumdar | Baul Sukumar | Belal Khan | Chisty Baul | DJ Alvee | Dj Rahat | Eleyas Hossain | Emon Khan | F A Sumon | Fakir Shahab Uddin | Fakir Shaheb | Fazlur Rahman Babu | Gamcha Polash | Gogon Sakib | Habib Wahid | Hasu | Hero Alam | Hridoy Khan | Imran | James | Jisan khan Shuvo | Kazi Shuvo | Mathim Sakib | Milon | Monir Khan | Moyuri | Murad Bibagi | Nasir | Nobel Man | Pagol Hasan | Parvez | Pritom Hasan | Prottoy Heron | Rakib Mussabbir | Rasel Babu | Rinku | Samz Vai | Sayed Omy | Seikh Sadi | Sharif Uddin | Shofiqul Islam | Tabib Mahmud N Rana | Tahsan | Taposh | Tausif | ZR Mamu |
Wapka/Wapkiz Theme Free Download
BIR 2020 DAUDTECH24.XYZ

Various Download Link Below Movie বীর - (BIR) - মুভি - বাংলা - রিভিউ - 2020

 

নামঃ বীর (২০২০)
ধরণঃ সোস্যাল/পলিটিক্যাল এ্যাকশন ড্রামা
পরিচালনাঃ কাজী হায়াৎ
প্রযোজনাঃ শাকিব খান ফিল্মস
অভিনয়ঃ শাকিব খান (অন্তু/বীর), মিশা সওদাগর (দিলু বেপারী), শবনম বুবলী (হেলেনা), নানা শাহ (কালাম মুন্সী/খুইনা কালাম), সোহেল খান (গঙ্গা রাম), সাদেক বাচ্চু (বীরের মামা), শবনম পারভীন (বীরের মামী), নাদিম (মিরান), ডন (বিখাউজ বাবু), শিবা শানু (শিবা), আমিন সরকার (কাশেম), জ্যাকি আলমগীর, আরিয়ানা জামান, জাহিদ হাসান, কমল পাটেকার, জাদু আজাদ, ববি, কাজী হায়াৎ (মেয়র সাজ্জাদ চৌধুরী), শাবান মাহমুদ (সাংবাদিক), সুনান (ছোট বীর) প্রমুখ।
শুভমুক্তিঃ ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


◼ নামকরণঃ
বীর বলতে মূলত বোঝানো হয় অসাধারণ কিংবা অতি মানবীয় গুণাবলীর অধিকারী কোনো ব্যক্তি। এরা এদের অসাধারণ কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। গ্রীক পুরাণ মতে বীর হলো একজন অর্ধ-দেবতা ও অর্ধ-মানব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে গড়া ব্যক্তি। এই গল্পেও বর্তমান নোংরা রাজনীতি এবং সমাজের নানাবিধ সমস্যার বিরুদ্ধে এক সাহসী মানুষকে অতিমানবীয় ধরনের প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। তাই নামকরণ হিসেবে “বীর” মোটামুটি যথার্থ মনে হয়েছে।

◼ কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপঃ
“বীর” এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ তিনটিই লিখেছেন এছবির পরিচালক কাজী হায়াৎ। পরিচালনা বাদেও তিনি একজন ভালো চিত্রনাট্যকার হিসেবে বেশ সমাদৃত, যদিও বিগত বছরগুলোতে তিনি তার সামর্থ্যনুযায়ী পর্দায় সঠিক বাস্তবায়ন করে দেখাতে পারেননি তাই এবারও একটা আশঙ্কা ছিল। তো সেই আশঙ্কা সত্যি হলো, না সেই পুরোনো কাজী হায়াৎ কে খুজেঁ পাওয়া গেলো… এই লেখায় সে সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

প্রথমেই যে বিষয়গুলো আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, তা হলো একাধিক আলোচিত সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুকে খুবই সরল ভঙ্গিমায় দর্শকের সামনে উপস্থাপন করা। সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচনে যেধরনের ভোট বাজেয়াপ্তকরণ দেখতে পাওয়া যায়, ততটা গভীরভাবে না দেখানো হলেও যতটুকু দেখানো হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে বর্তমান বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে।

দ্বিতৗয়ত, দেশের নাগরিকদের প্রতি “সংখ্যালঘু” শব্দটা উচ্চারণ করাও যে অন্যায়, সংলাপের মাধ্যমে এটার ওপর বেশ ভালোভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

তৃতৗয়ত, তৃণমূল পর্যায়ে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা। ছবিতে এক ভারপ্রাপ্ত মেয়রের মুখে এমন একটি সংলাপ শুনতে পাওয়া যায়, রাজনীতির ব্যবসা হলো লুটপাট করার সবথেকে সেইফ সেক্টর। তাই তারা তাদের অবৈধ ড্রাগস এর ব্যবসা বাদ দিয়ে এটার সাথেই সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করছে; যা মূলত ইঙ্গিত করে পৌর অঞ্চলগুলোতে এখন কীরকম ভয়ানক অবস্থা চলছে।

চতুর্থত সাধারণ মানুষের বিবেকবুদ্ধির লোপ পাওয়ার পরিনতি কীরকম সেটা দেখানো। সাধারণ মানুষ তো ঘুমিয়ে গেছে, তাই তাদের জাগানোর চেষ্টা করতেছি, ছবির মূল চরিত্রের মুখে এরকম একটি সংলাপ এটা বোঝায় জনগণ সব অন্যায় সহ্য করতে গিয়ে এরকম নিশ্চুপ হয়ে গেছে; এখন আর কোনো বড় অন্যায় তাদের কাছে বড় মনে হয় না, ধর্ষণের মতো নির্লজ্জ কর্মকান্ডও এসমাজে এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

এছাড়াও রূপপুরের বালিশকান্ড কিংবা মশার ওষুধে কেরোসিন মিশানোর মতো সমালোচিত বিষয়বস্তুর ওপর এছবি কিছুটা আলোকপাত করেছে, কয়লাখনি লুটপাটের বিষয়টি কিছুটা বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির ইস্যুকে মনে করিয়ে দেয়। ছোটবড় অপরাধের পরিপেক্ষিতে কোনো নির্দোষের সাজা ভোগ করা আমাদের বিচারব্যবস্থায় যে সাধারণ একটি বিষয়, এগল্পে সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।

স্ক্রিণপ্লেতে এতোকিছু ভালো বিষয় থাকা পরও যেবিষয়টি সবথেকে বেশি বিরক্তিকর উদ্রেকের সৃষ্টি করেছে তা হলো এর অবাস্তব উপস্থাপনা, যদিও একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গল্প যথেষ্ট বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছিল। তবে যখন বর্তমান সময়ে এসে পর্দায় দেখতে পাওয়া যায় পৌর মেয়র এবং বিরোধীপক্ষ মিলে পাতি গুণ্ডাপান্ডাদের মতো মারামারি করছে, বাস্তবসম্মত গল্পের এরকম হাস্যকর উপস্থাপন তখন আর মেনে নেওয়া যায় না।

এছাড়া ততটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলেও, গল্পের শেষ টা যেভাবে দেখানো হয়েছে এটা অনেকের ক্ষেত্রে “বীর” নামটির জন্য আপত্তিকর মনে হতে পারে। যেভাবে গল্পের শুরু হয়েছিল এবং যেভাবে সামনের দিকে এগোচ্ছিল… এ গল্পের শেষ এর থেকে বেটার হতেই পারতো…
এ অংশ পাবে ৬০% মার্ক।

◼ পরিচালনাঃ
আমাদের বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার ইতিহাসে কাজী হায়াৎ এক অন্যতম সেরা পরিচালক। আশির দশকে রাজ করা এ.জে মিন্টু কিংবা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুদের গড়ে দেওয়া বাণিজ্যিক সিনেমার বাজারকে নব্বই দশকে কাজী হায়াৎ সহ অন্যান্য প্রতিভাবানরা এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর অবশ্য এরাই আবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখিয়েছেন, যার ক্ষত এখনো আমাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

বক্তব্যধর্মী সাহসী চিত্রায়নের জন্য কাজী হায়াৎ সর্বসাধারণের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত। এছবির আগে তিনি দীর্ঘসময় অসুস্থ ছিলেন, সুস্থ হয়ে আবার তিনি ক্যামেরার পেছনে বসতে পেরেছেন এটাই বড় প্রাপ্তি। তিনি সহ ছবিসংশ্লিষ্ট সবাই “বীর” কে তার ৫০ তম পরিচালনা হিসেবে প্রমোশন করেছেন, যদিও আদৌ এটি তার পঞ্চাশতম পরিচালনা কিনা সেব্যপারে যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক আছে। সেই আলোচনা বাদ দিয়ে যদি অল্পকথায় এছবিতে তার নির্মাণশৈলী নিয়ে বলি, সেক্ষেত্রে টক-ঝাল-মিষ্টি অনুভুতি পাওয়া গেছে।

প্রথমার্ধের শুরুতে খুব দ্রুত গল্প ডেভলপ করা হয়েছে যেখানে মনে হয়েছে যত্নের যথেষ্ট অভাব আছে। মাঝে এসে ছবি তার কাঙ্ক্ষিত গতি ধরতে পারে এবং এই সময়টায় সেই পুরোনো কাজী হায়াৎ কে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছিল। শেষের আধঘণ্টায় আবার সেই অতি দ্রুত গল্প বলার ধরন এবং সেইসাথে বাস্তবতার সাথে তাল মেলানো চিত্রনাট্যকে অতিমানবীয় রূপ দিতে যেয়ে তালগোল পাকিয়ে গেছে। সবমিলিয়ে যদি বলি তবে “বীর” কে কাজী হায়াৎ এর মোটামুটি নির্মাণ বলা যায়।

◼ অভিনয়ঃ
কাজী হায়াৎ এর ছবিতে মূল পুরুষ চরিত্রটি বেশ গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়, সেইসাথে বেশ যত্নের সহিত চরিত্রটিকে ঘিরে গল্প সাজানো হয়। তার পরিচালিত জনপ্রিয় ছবিগুলি দেখলে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সেই পরিপেক্ষিতে শাকিব খান এবার দারুণ শক্তিশালী একটি চরিত্র পেয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের অন্যতম ভিন্নধর্মী চরিত্র। “বীর” এর মূল গল্প এই চরিত্রকে ঘিরেই, যেখানে তিনি একাধিকবার জেল খাটা একজন প্রাপ্তবয়স্কের রোল প্লে করেছেন।

শাকিব খানের চরিত্রের মোট তিনটি সময় দেখানো হয়েছে, তার দুইটি তিনি নিজেই রূপদান করেছেন আর বাকি একটি রূপদান করেছেন শিশুশিল্পী সুনান। এখানে শিশুশিল্পী সুনানের অভিনয় খুবই উচ্চকিত এবং আরোপিত মনে হয়েছে। বীরের তরুণ বয়সের চরিত্রটিতেও শাকিব খান কে বেশ আরোপিত মনে হয়েছে, এর পাশাপাশি এই সময়টায় পর্দায় তাকে বেশ অস্বস্তিতে থাকতে দেখা গেছে। তবে চরিত্রের যে অংশটি এছবির প্রধান, সেখানে তিনি ভালোভাবেই উতরে গেছেন। আগে থেকেই তার এই ন্যাচারাল লুক সবার কাছ থেকেই প্রশংসা কুড়িয়েছে, এই লুকে তাকে দেখতেও ভালো লেগেছে। গোপালগঞ্জ কিংবা এর আশেপাশের কোনো জেলার আঞ্চলিক ভাষা তার মুখে শোনা গেছে, বেশ ভালো লেগেছে।

গুরুত্বের দিক থেকে মিশা সওদাগরের রূপদান করা দিলু বেপারী চরিত্রটি মূল চরিত্রের থেকে কোনো অংশেই কম নয়। তবে তিনি চরিত্রটিকে যেভাবে রূপদান করেছেন সেটা খুবই গতানুগতিক ঘরানার, এরকম মিশা সওদাগরকে আমরা এর আগে অসংখ্য চলচ্চিত্রে দেখেছি। পূর্বের মতো অতি উচ্চবাচ্য এবার পাওয়া যায়নি, এটাই মন্দের ভালো। তার এবং শাকিব খানের ভালো কিছু মুখোমুখি সিকোয়েন্স রয়েছে।

কাজী হায়াৎ এর ছবিতে কোনোকালেই নারী চরিত্রগুলো তেমন একটা গুরুত্ব বহন করেনি, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই শবনম বুবলী এই চরিত্রে আলাদারকম কিছু দেখানোর সুযোগ পাননি। তার চরিত্রের ব্যপ্তি আরো কম হলেও মন্দ হতো না। ইদানিং নিয়মিত হওয়া নানা শাহ এর অভিনয় মোটামুটি ভালোই লেগেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই একজন দেশী ভিলেনকে দেখতে পাচ্ছি যিনি চোখের সাহায্যের নিষ্ঠুরতা কিংবা ভয়াবহতা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন।

কাজী হায়াৎ এর ছবির আরো একটি বিশেষত্ব হলো ছবিতে খুবই কম আকারে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্র থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্য তার ব্যতিক্রম দেখতে পেলাম, তবে সেগুলো যারা রূপদান করেছেন তাদের অভিনয় একদমই ভালো ছিল না। তাই এই একাধিক পার্শ্বচরিত্রগুলো এছবির অন্যতম মাইনাস পয়েন্ট হিসেবে দাঁড় করানো যায়; যেখানে সোহেল খান ব্যতীত কেউই তার চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে উপস্থাপন করতে পারেননি। সাদেক বাচ্চু, শবনম পারভীন, ডন, শিবা শানু, কমল পাটেকার, জাদু আজাদ, আমিন সরকার, শাবান মাহমুদ এমনকি কাজী হায়াৎ নিজেও অতিথি শিল্পী হিসেবে গড়পড়তা পারফরমেন্স দেখিয়েছেন।
এ অংশ পাবে ৫০% মার্ক।

◼ কারিগরিঃ
সাইফুল শাহীন, যিনি তার সবশেষ তিন ছবিতেই (“পোড়ামন ২”, “দহন”, “পাসওয়ার্ড”) বেশ ভালো ক্যামেরাওয়ার্ক দেখিয়ে সকলের প্রশংসা জুগিয়েছিলেন… এছবিতে তার কাজ সেতুলনায় মোটামুটি লাগলো। নিয়মিত এডিটর তৌহিদ হোসেন চৌধুরীর এডিটেও অনেক খুঁত খুজেঁ পাওয়া যাবে, রঙের বিন্যাসের দিক থেকেও এছবিকে মোটামুটি মনে হয়েছে।

কয়লার খনি বাদে ছবির বাকি লোকেশনগুলো গল্পের সাথে একদমই মানানসই মনে হয়নি, এক্ষেত্রে ছবির ব্যাকড্রপ যদি গ্রামাঞ্চলে সেট করে ওখানেই শ্যুট করা যেতো তবে দেখতে আরো গর্জিয়াস হতো। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ করেছেন ইমন সাহা, আর এবারেও তিনি গড়পড়তা মুখস্থ মিউজিক বসিয়েছেন, নতুনত্ব খুজেঁ পাইনি। এছাড়া ফাইট সিকোয়েন্সগুলো অনেক বেশি ওভার দ্য টপ দিয়ে গেছে, ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি বিধায় দৃষ্টিকটু লাগছিলো। সবমিলিয়ে টেকনিক্যাল দিক থেকে “বীর” কে অত্যন্ত দূর্বল মনে হয়েছে।
এ অংশ পাবে ৪০% মার্ক।

◼ বিনোদন ও সামাজিক বার্তাঃ
মাস অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ছবিতে একরকম জোর করেই শেষের ত্রিশ মিনিট ওভার দ্য টপ করে দেওয়া হয়েছে, যেটা করা একদমই উচিত হয়নি। এই সময়ের মধ্যে একটি রোম্যান্টিক গানও প্রবেশ করানো হয়েছে যা ছবির মূল বিষয়বস্তুর সাথে একদমই যায় না। গানটি মূলত ক্লাসিক ছবি “অবুঝ মন” এ থাকা জনপ্রিয় গান “তুমি আমার জীবন” এর রিক্রিয়েশন। গানটির সুর দিয়েছেন ভারতের আকাশ সেন, লিখেছেন কবির বকুল এবং গেয়েছেন ইমরান-কোনাল।

এটি বাদ দিলে “বীর” এর গানগুলোর মধ্যে যথেষ্ট ভ্যারিয়েশন ছিল। মনির খানের গাওয়া কবিগান ছিল, আকাশ মাহমুদের গাওয়া কাওয়ালী গান ছিল, আবার কোনালের গাওয়া একটি আইটেম গানও ছিল! এর মধ্যে আকাশ মাহমুদের গাওয়া গানটিই বেশি ভালো লেগেছে, গানটির গীতিকার ও সুরকার হলেন যথাক্রমে ফয়সাল রাব্বিকিন ও শওকত আলী ইমন। এছাড়া কবিগানটির সাথে গল্পের সামঞ্জস্যতা থাকায় এটাও মন্দ লাগেনি, এগানের গীতিকার ও সুরকার হলেন যথাক্রমে মুন্সী দিল ও আহমেদ সগীর। আইটেম গানটির সুর দিয়েছেন আকাশ সেন এবং আকাশ সেনের সব গানের সুর একইরকমের হয়, তাই এ গান আমার কাছে বিশেষকিছু লাগেনি।

“বীর” ছবিতে সমসাময়িক সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যাগুলো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, এটাই এছবির শক্তিশালী দিক। দূর্নীতি, গুম, খুন, চাঁদাবাজি, চোরাচালান, ঘুষ সহ সকল ধরনের নোংরা রাজনীতির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকেই প্রতিবাদী হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
এ অংশ পাবে ৭০% মার্ক।

◼ ব্যক্তিগতঃ
“বীর” নিয়ে আমার প্রত্যাশা তেমন একটা ছিল না, এর প্রধান কারণ এছবি সংশ্লিষ্টদের সাম্প্রতিক মানহীন কাজসমুহ। এছবি শতভাগ মৌলিক কিনা জানিনা, তবে যা প্রত্যাশা করেছি সে তুলনায় আমি এছবি মোটামুটি উপভোগ করেছি। তবে যদি গল্পকে আরো ভালোভাবে ডেভলপ করা যেতো এবং শেষার্ধে অধিক বিশ্বাসযোগ্যতার সহিত উপস্থাপন করা যেতো, তবে এছবি সর্বসাধারণের নিকট অত্যন্ত পছন্দের হতো বলে আমার বিশ্বাস, যেহেতু এখানে সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয়গুলোই উঠে এসেছে। এছাড়া অভিনয় এবং কারিগরি দিকে এছবি সংশ্লিষ্টদের আরো দক্ষতা বাড়াতে হবে, বর্তমানে যা আছে বাণিজ্যিক ছবির জন্য তা যথেষ্ট নয়।

রেটিংঃ ৫.৫/১০

 

 

যারা এখনো দেখেনি তাদের জন্য ডাউনলোড লিংক দিলামঃ Download In 720P Quality

এরকম নতুন নতুন মুভি পেতে আমাদের মুভি সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন

 

WapkizTheme - DaudTech24.Xyz

Related Topic